১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
  • প্রচ্ছদ
  • লাইফস্টাইল
  • কর্মক্ষেত্রে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল
  • কর্মক্ষেত্রে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল

    চাঁদপুর ট্রিবিউন ডেক্স

    নিজেকে এগিয়ে নেওয়া মানে অন্যকে কৌশলে পেছনে ফেলে দেয়া নয়। এটি ব্যক্তিগত লক্ষ্যের পরিপূর্ণতা, নিজের আবেগের সাধনা এবং সততা, নিষ্ঠা ও শ্রমের প্রতিদান।

    সফলতা হল একটি গভীর ব্যক্তিগত এবং বিকশিত ধারণা, যা একজন ব্যক্তির মূল্যবোধ, আকাঙ্ক্ষা এবং পরিপূর্ণতার অনুভূতির প্রতিফলন করে। সত্যিকারের সাফল্যের সাথে পেশাগত কৃতিত্ব এবং ব্যক্তিগত সুস্থতার মধ্যে ভারসাম্য জড়িত থাকে, এতে উদ্দেশ্য এবং তৃপ্তির অনুভূতি জাগায়। সাফল্য হল একটি স্থির গন্তব্যের পরিবর্তে একটি গতিশীল যাত্রা, যা ক্রমাগত স্ব-উন্নতি, অভিযোজন যোগ্যতা এবং নিজের এবং অন্যদের উপর ইতিবাচক প্রভাব দ্বারা চিহ্নিত করে।

    জীবনে সফল হওয়া এতো সহজ নয় বটে তবে কঠিনও নয়। মন স্থির করে কিছু নিয়ম বা কৌশলের মধ্য দিয়ে নিজেকে ধাবিত করলে সফলতা নামের গর্বিত সুখ পাখিটি ধরা দিতে বাধ্য। এই কৌশলগুলো শুধু কর্মক্ষেত্রেই নয়, যেকোনো জায়গায় নজর কাড়তে বা সফল হতে সহায়তা করবে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে নিজেকে এগিয়ে নিতে কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার বিকল্প নেই।

     

    প্রযুক্তিগত জ্ঞান

    চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি হওয়া সত্ত্বেও জীবন কিন্তু খুবই চ্যালেঞ্জের মুখে। প্রতিনিয়ত নিজেকে তৈরি করতে হবে নতুনের সাথে। কর্মক্ষেত্রে যতই আমরা সফল হই না কেন, শেখার কোনো শেষ নেই। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজারে আসছে নিত্যনতুন প্রযুক্তি। নতুন কিছু শেখার মনোভাব না থাকলে ডিজিটাল যুগের সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়বে।

    গবেষণা

    পেশা হিসেবে যে কাজের সাথে আপনি জড়িত, তা সম্পর্কে আরো বেশি করে জানা এবং প্রতিনিয়ত ইনোভেটিভ আইডিয়া খোঁজা। কাজের মান ও অনন্য হিসেবে নিজেকে দেখতে চাইলে পড়াশোনা ও গবেষণার কোন বিকল্প নেই।

     

     

    সময়জ্ঞান 

    ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য নিয়ে রচনা কে না লিখেছি! কর্মজীবনে পা দিয়ে অনেকেই আমরা এই সময়ানুবর্তিতার কথা হয়তো বেমালুম ভুলে যাই। অথচ সময় মতো অফিসে আসা, কাজ সময় মতো শেষ করা এই বিষয়গুলো কর্মজীবনে আরো জরুরি। অজুহাত নয় বরং জ্যাম অথবা ঝড়-বৃষ্টির দিনে সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে পৌঁছানো, এবং কন্টেন্টের গুরুত্ব বুঝে তা ব্যবস্থা নেওয়া। নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে সময়জ্ঞানের বিকল্প নেই।
    লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা

    সফল ব্যক্তিরা কাজের শুরুতেই সুনির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য ঠিক করে নেন। সে পরিকল্পনা হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি কিংবা স্বল্পমেয়াদি। কাজের পরিধি ও সক্ষমতার ওপর তা নির্ভর করবে। দিনের শুরুতেই ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে নিলে পূরণ করা যেমন সহজ হয়, তেমনি কাজের শেষে নিজেকে মোটিভেট করাও সহজ হয়।

    যোগাযোগ দক্ষতা 

    বর্তমান সময়ে কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের অন্যতম বড় চাবিকাঠি হলো যোগাযোগ রক্ষা করা। ক্লায়েন্ট থেকে শুরু করে সহকর্মী, এমনকি অফিসের বস, সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। এতে কাজের গতিশীলতা থাকে।

     

    দলগতভাবে কাজ করা

    কর্মক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিরা শুধু নিজের কাজে অভিজ্ঞ, ব্যাপারটা তেমন নয়; বরং দলগত কাজেও তারা সহজেই মানিয়ে নিতে পারেন। দলের যে কারও সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করাটাই সফল কর্মীর গুণ।
    অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে দূরে থাকা

    কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনাকে গুরুত্ব না দেওয়া। সহকর্মীর সাথে সম্পর্ক অফিসকেন্দ্রিকই হওয়া অধিক ভাল । কেননা মন উজার করে নিজের দুখের কিংবা সুখের কথা বলতে গিয়ে তা একসময় চরম ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

    সততা ও নিষ্ঠা 

    কর্মক্ষেত্রে যে কাজই করি না কেন তা ভালবেসে যত্ন দিয়ে নিজের মনে করে করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠা কখনো বৃথা যায় না। আজ অথবা কাল ফল নিশ্চিত পাওয়া যায়। দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে যেতে হবে, শ্রম ও যোগ্যতা শিখরে নিয়ে যাবেই। আর এর জন্য ধৈর্য্য শব্দটা খুবই জরুরি!

     

    আরও পড়ুন

    হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানোর টিপস
    যে চার আচরণ সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে
    লিভারের জন্য ৫টি উপকারী খাবার
    টক দইয়ের উপকারীতা
    জীবনের সেরা সময় পার করছি: মেহজাবীন
    গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন